ইকোস্ট্যাট ক্রীম এর ব্যবহার- Ecostat Cream use-Bangla

ইকোস্ট্যাট- Ecostat Cream-Bangla 
ইকোনাজল এবং ট্রায়ামসিনোল ক্রীম 

ইকোস্ট্যাট ক্রীম Eostat Cream-Bangla 

 

ইকোস্ট্যাট ক্রীম এর ব্যবহার: অনেকেই ইকোস্ট্যাট ক্রীম এর ব্যবহার বিধি জানেন না। অনেকেই গুগুলের মাধ্যমে জানতে চান যে ইকোস্ট্যাট ক্রীম এর ব্যবহার নিয়ম বাংলাতে। তাই আজ আমরা ইকোস্ট্যাট ক্রমীর এর ব্যবহার এর নিয়ম বাংলাতে আলোচনা করব। ইকোস্ট্যাট ক্রমীম এর সকল বিষয় আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

 

ইকোস্ট্যাট ক্রীম এর উ্পাদান:

ইকোস্ট্যাট ক্রীম: প্রতি গ্রাম ক্রীমে আছে ইকোনাজল নাইট্রেট বিপি ১০ মি.গ্রা. এবং ট্রায়ামসিনোলন এ্যাসিটোনাইড বিপি ১ মি.গ্রা.।

ফার্মাকোলজি:

ইকোস্ট্যাট ক্রীম বিস্তৃত বর্ণালীর ছত্রাকবিরোধী, প্রদাহবিরোধী, চুলকানিবিরোধী ও এলার্জি বিরোধী কার্যকারিতা দেখায়। এই ক্রীম ইকোনাজল নাইট্রেট এবং ট্রায়ামসিনোলন এ্যাসিটোনাইড এর সমন্বয়ে তৈরি। যেখানে ইকোনাজল নাইট্রেট ছত্রাকবিরোধী এবং ট্রায়ামসিনোলন এ্যাসিটোনাইড প্রদাহ কমাতে ও জীবাণু বিরোধী হিসেবে কাজ করে। ইহা গ্রাম-পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, একজিমা এবং পুনঃপ্রদাহের মিশ্র সংক্রমণে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কার্যকারিতা প্রদশন করে। এছাড়া ইহা ত্বকের ভাঁজের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত প্রদাহে বিশেষ কার্যকারিতা প্রদর্শন করে।

ইকোনাজল ত্বকে খুব কমই শোষিত হয় কিন্তু ট্রায়ামসিনোলন এ্যাসিটোনাইড ভালভাবেই ত্বকে শোষিত হয়।

নির্দেশনা:

এটি স্টেরয়েড সংবেদশীল ও ইকোনাজল সংবেদনশীল প্রদাহজনিত ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়ার মিশ্র সংক্রমণের চিকিৎসায় নির্দেশিত যেমন-

• এক্ জিম্যাটাস মাইকোসিস

• একজিমা মার্জিন্যাটাম

• হার্পিস সার্সিনাটাম

• ফলিকুলাইটিস ট্রাইকোফাইটিকা

• মাইকোসিস বার্বি

• অনিকোমাইকোসিস

মাত্রা ও প্রয়োগবিধি:

শুধুমাত্র ত্বকে ব্যবহারের জন্য।

বয়স্কদের ক্ষেতে: দিনে দুইবার আক্রান্ত স্থানে আঙ্গুল দিয়ে মৃদুভাবে ঘষে ঘষে লাগাতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অথবা 14 দিন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।

শিশুদের ক্ষেত্রে: শিশুদের ত্বকীয় ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

বিপরীত নির্দেশনা:

যক্ষা রোগ দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত অথবা ভাইরাল রোগের (হার্পিস, ভ্যাকসিনিয়া, ভেরিসেলা) ক্ষেত্রে এটি নির্দেশিত নয়।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

ঔষধটি প্রয়োগের অব্যবহিত পর প্রয়োগস্থলে ক্ষণস্থায়ী ও মৃদু ধরনের জ্বালাপোড়া, চুলকানি ও লালচে ভাব দেখা যেতে পারে।

 

নির্দেশাবলি বিস্তারিত দেখুন এখানে 

সতর্কতা:

অতিসংবেদনশীলতার কথা জানা গেছে। যদি এরূপ কিছু ঘটে, তাহলে ঔষধের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। সংক্রামক স্থান অবশ্যই পরিস্কার এবং শুষ্ক রাখতে হবে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:

একান্তই বাধ্য না হলে গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে এটি দেওয়া যাবে না।

সংরক্ষণ:

আলো থেকে দূরে নিরাপদ, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে নিজ দায়িত্বে রাখুন।

প্যাকিং:

ইকোস্ট্যাট ক্রীম: প্রতি ল্যামিটিউবে আছে ১০ গ্রাম ক্রীম।

প্রস্তুতকারক:

শরীফ ফার্মাসিউটিক্যাল্স লিঃ।

রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Ecostat Cream price in bd

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *