CV অথবা Biodata খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জীবনে। আমরা অনেকেই সিভি লেখার নিয়ম সঠিকভাবে জানিনা । আজকের এয়ারটেল এর মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে CV লেখার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আমরা যখন লেখাপড়া শেষ করে অথবা লেখাপড়ার পাশাপাশি কোন চাকরি করতেন যাই। ঠিক তখনই আমাদের সিভি লেখার প্রয়োজন পড়ে। স্কুল প্রতিষ্ঠান আমরা লেখাপড়া অবস্থায় যদি কোন কিন্ডারগার্ডেন স্কুল এ লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকরি করি তখন তারা আমাদের কাছে CV অথবা Biodata চেয়ে থাকে।
আর যখন আমরা কোন কোম্পানিতে চাকরির জন্য আবেদন করি তখন সেখানে প্রথমেই আমাদের CV অথবা Biodata জমা দিতে হয় ।
এরপর সিভি দেখে কোম্পানির লোকেরা আপনাকে আইডেন্টিফাই করে আপনাকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকবে কিনা। এজন্য একটি নির্ভুল সহজ ভাষায় সিভি বানানো অনেকটাই ভালো।
আরো পড়ুন:
এতে, করে আপনার personal Information, qualification, experience আদি details এর বিষয়ে ভালো ভাবে তারা বুঝতে পারে। এজন্যই আপনার সিভি লেখার নিয়ম এবং “সিভি কিভাবে তৈরি করবেন” সে সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হবে।
আজকে আমি আপনাদের, CV লেখার নিয়ম, CV বা biodata তে কি কি থাকতে হবে এবং একটি আকর্ষিত সিভি কিকরে নিজেই তৈরি করে নিতে পারবেন সব বিষয়ে আলোচনা করবো।
আপনি আজকের এই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি কোথাও না গিয়েও নিজে নিজেই নিজের মোবাইল অথবা কম্পিউটার দিয়ে একটি আকর্ষণীয় CV অথবা Biodata বানিয়ে তা ব্যবহার করতে পারবেন।
তো বন্ধুরা আর দেরি না করে, CV অথবা বায়োডাটা কিভাবে তৈরি করতে হয়। এবং একটি CV অথবা বায়োডাটাতে কি কি লিখতে হয় সে সম্পর্কে জেনে নেই।
সিভি লেখার নিয়ম কি এবং CV তে কি কি বিষয় লিখতে হয় ?
মূলত সিভি হল 1/2/3 পাতার একটি সংক্ষিপ্ত বা পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত যেখানে কোন ব্যক্তির নাম , ঠিকানা , শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সহ আরো কিছু আনুষাঙ্গিক বিষয় উল্লেখ থাকে ।
বর্তমানে চাকরির ইন্টারভিউ এর পাশাপাশি একাডেমিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও সিভি’র এর প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবহার দেখা যায়। । অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাংলায় বায়োডাটা ও ইংরেজিতে CV লেখা হয়ে থাকে।
একটি বায়োডাটা বা CV লেখার কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই। তবে একটি সিভিতে কি কি বিষয় থাকতে হবে তা অনেকটাই নিয়মের আওতায় পড়ে।
কেননা, আপনার বায়োডাটা বা সিভি দেখেই আপনার সম্পর্কে ধারনা নেওয়া যাবে।
আর যদি কোনো কোম্পানির job interview র জন্য আপনি CV তৈরী করেন, তাহলে তাতে যদি আপনার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো থাকে তাহলে কোম্পানির লোকেরা আপনার প্রতি কোন ইন্টারেস্টেড দেখাবে না ।
সিভিতে কী কী দিতে হয় ?
- ব্যক্তিগত তথ্য: এই বিভাগে আপনার নাম, ফোন নম্বর এবং ইমেল ঠিকানা রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে যোগাযোগের ঠিকানা প্রয়োজন হতে পারে। তবে আপনার ছবি দেওয়ার দরকার নেই।
- সারাংশ: এই অংশে আপনাকে খুব সংক্ষেপে নিজের পরিচয় দিতে হবে। এটি ইংরেজিতে ‘Personal Statement’ বা ‘Objective’ নামে পরিচিত। আপনি যে ক্যারিয়ারটি অনুসরণ করতে চান এবং আপনার বর্তমান চাকরিটি সেই ক্যারিয়ারের সাথে কীভাবে সম্পর্কিত তা সম্পর্কে 100 শব্দে লিখুন।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: সাম্প্রতিক ডিগ্রি বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে শুরু করুন। স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীর ক্ষেত্রে এইচএসসি বা এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।
- কাজের অভিজ্ঞতা: এই বিভাগে আপনি আগে যে ধরনের কাজ করেছেন তা বর্ণনা করুন। প্রথমে সাম্প্রতিক কাজ সম্পর্কে লিখুন।
- দক্ষতা এবং কৃতিত্ব: আপনি যে চাকরির জন্য আবেদন করছেন তার সাথে সম্পর্কিত কোনো দক্ষতা থাকলে এই বিভাগে লিখুন। প্রাসঙ্গিক হলে কোনো পুরস্কার, সম্মাননা বা প্রকাশনা উল্লেখ করুন।
- রেফারেন্স: রেফারেন্স হিসাবে আপনার কাজ বা দক্ষতা এবং যোগ্যতা সম্পর্কে ভাল ধারণা আছে এমন 1 – 2 জনের নাম এবং যোগাযোগের বিবরণ দিন। তবে আগে থেকে তাদের অনুমতি নিন। মনে রাখবেন যে সমস্ত কাজের জন্য একটি রেফারেন্স বিভাগ থাকা প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজনে নিয়োগকর্তারা আপনাকে এই তথ্য চাইতে পারেন।
তাতে দেখা যাবে, যারা সিভি ভালোভাবে নিজের প্রয়োজনীয় বিষয় details সহ বানিয়েছেন, তাদের ওপর কোম্পানির লোকেরা ইন্টারেস্টেড থাকবেন এবং তাদেরকেই interview এর জন্য ডাকা হবে।
তাহলে, এখন প্রশ্ন হচ্ছে – একটা আকর্ষনীয়, প্রয়োজনীয় details সহ সিভি কিভাবে তৈরী করবেন ? নিজের সিভিতে এমন কি কি বিষয় লিখবেন যে কোম্পানির লোকেরা আপনার প্রতি ইন্টারেস্টেড হবে এবং আপনাকে personal interview এর জন্য ডাকবে।
নিজের সিভিতে কি কি বিষয় লিখবেন ?
যেমন আমি ওপরে বলেছি, job apply করার সময় আপনার biodata বা cv অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তাই, এইটা অবশ্যই মাথায় রাখবেন যেন আপনার সিভিতে সেই সব দরকারি বিষয়গুলো থাকে যেগুলো কেবল একটা বা দু্ইটা page এই আপনার বেপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে।
যাতে করে, কোম্পানির লোকেরা খুব সহজেই আপনার সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন এবং চাকরির ইন্টারভিউ এর জন্য আপনাকে তাদের দায়িত্বে কোন অসুবিধা না হয়।
চলুন আমরা এখন সরাসরি জেনে নেই যে, সিভি তে কি কি লেখার প্রয়োজন হয়।
১. Make simple resume / cv : আমি সর্বপ্রথম আপনাকে এটাই বলব যে, জটিলভাবে কখনোই কোনো CV বানাবেন না। যতটুকু পারেন খুব সহজভাবে সিভি বানানোর চেষ্টা করবেন।
কেননা আপনার তৈরি করা CV/ resume যদি জটিল কঠিন হয়, তাহলে সেটা পরে কোন কোম্পানির লোক বা যেখানে আপনি CV দিবেন আপনার সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবে না।
এক্ষেত্রে, যারা সিভি সহজ ও সহজভাষায় দিয়েছে তাদেরকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকবে।
কারণ, সত্যানুসরণ সুবিধা যে কেউ আপনার job profile, skills, education এবং qualification, interest ইত্যাদি জানতে পারে।
২. Objective: objective মানে উদ্দেশ্য, এই পার্ট টি আপনি নিজের সিভির শুরুতেই রাখুন এবং নিজের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে লিখুন। এখানে এইটা লিখতে পারেন যে, যদি আপনি job টি পান তাহলে আপ্নে কিভাবে নিজের কাজ এবং দায়িত্ব পালন করে থাকবেন।
এখানে কেবল 2 থেকে 4 লাইনেইর মধ্যেই আপনার দায়িত্ব পালন সম্পর্কে লিখুন।
৩. Personal strength: এখানে আপনি আপনার personal strength সম্পর্কে লিখুন।
যেমন: আপনার communication skills (যোগাযোগ দক্ষতা) কেমন, কাজের সংশ্লিষ্ট চাপ আপনি বহন করতে পারবেন কি না এবং আপনি কতটুকু সময়ের সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তা লিখুন।
এতে করে আপনার একটি positive প্রভাব এবং কাজে মনোযোগী ভাব নিয়োগকর্তার (employer) নজরে পর্বে।
৪. Work experience: work experience বা কর্মদক্ষতা একটি ভালো জব পাওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনার কাজের দক্ষতা দেখে অধিকাংশ employer (নিয়োগকর্তারা) আপনাকে সবার আগে অগ্রাধিকার দেবে, এবং আপনার চাকরি পাওয়ার সুযোগ অনেকটাই বেড়ে যাবে।
তবে, আপনি যদি fresher বা নতুন হন, তাহলে এটা আপনার জন্য দরকার নেই।
আর যদি আপনি কোন কোম্পানিতে জব করে থাকেন তাহলে সেটা “work experience” এই বাটে অবশ্যই লিখবেন এতে করে আপনার জব পাওয়া অনেকটাই সহজ হবে।
৫. Education & qualification: নিজের personal strength এবং work experience এর বিষয়ে লেখার পর, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্টি হল শিক্ষাগত যোগ্যতা বিষয়ক লিখা।
যে কোন কোম্পানিতে চাকরির জন্য আপনার education এবং qualification অনেকটাই নির্ভরশীল তাদের সার্কুলার অনুযায়ী।
শিক্ষাগত যোগ্যতার এই অংশে আপনি জাজা ডিগ্রি অর্জন করেছেন তা সব কিছুই এখানে বিস্তারিত লিখুন।
উদাহরণ স্বরূপ, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়েছেন, কি কি সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন এবং final exam গুলিতে কত marks পেয়েছে সেটা ভালো করে বিস্তারিত লিখুন।
৬. Personal information: পার্সোনাল ইনফরমেশন তিন থেকে চার লাইনের মধ্যে আপনার নাম ঠিকানা ইত্যাদি দেখুন। আপনার নিজের hobby, interest, passion কি এসব বিষয়েও লিখুন।
এতে করে আপনি কেমন ব্যক্তিগত জীবনে তাও কর্তৃপক্ষ সহজে বুঝবে।
৭. Final declaration: “ফাইনাল ডিক্লারেশন (শেষ ঘোষণা)” এই অংশটি হল সিভির একদম শেষ অংশ। এখানে আপনার এইটা ঘোষণা দিয়ে লিখতে হবে যে, উপরের দেওয়া আপনার সকল তথ্য personal, qualificational & educational, work experience সঠিক এবং details গুলো যে সঠিক তার দায়ভার আপনি নিজেই।
৮. Name & date: এখন আপনার সিভি লেখা সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু, নিজের সিভিটি আকর্ষণীয় এবং নির্ভ ুল করার জন্য সিভির শেষে “Date” দিন। অথবা “Date” আপনি শুরুতেও (সবার উপরে) দিতে পারেন।
তারপর, নিজের নামের উপরে signature (স্বাক্ষর) করুন। ব্যাস আপনার চাকরির জন্য নিজে বানানো সিভি তৈরি হয়ে গেলো।
বনধুরা, আমি আপনাদের সিভি লেখার নিয়ম কি ? বা সিভি তৈরি করার সময় কি কি লিখতে হয় তার বেপারে জানালাম।
উপরের বর্ণনা মতে দেয়া যদি আপনি নিজেই নিজের সিভি তৈরী করেন তাহলে সেটা অবশই আপনার চাকরির জন্য অনেক ভালো হবে। ইন্টার ভিউ এর জন্য আপনি অবশ্যই ডাক পাবেন।
কেননা উপরে দেবা অংশগুলিতে নিয়োগকর্তারা আপনার ব্যক্তিগত, শিক্ষা, দক্ষতা, কাজের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি জরুরি বিষয়গুলি সহজে বুঝে নিতে পারবেন।
এখন, সিভি লিখার নিয়ম জানার পর চলেন সিভি কিকোরে বানানো যায় তা নিচে জেনে নেই।
একটি সিভি কিভাবে তৈরী করবেন বা বানাবেন ?
আমি আপনাদের আগেই বলেছি, cv বা biodata বানানোর জন্য আপনাকে কোথায় যেতে হবে না।
আপনি নিজেই ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইল দিয়েই একটি সিভি বানাতে পারবেন।
আজকের ডিজিটাল টেকনোলজির যোগ এতটাই ফাস্ট এবং এডভান্স হয়েছে যে, আপনাকে কোথাও না গিয়ে, সবকিছু ইন্টারনেট মোবাইল এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে আপনি করে নিতে পারবেন।
নিচে আমি আপনাদেরকে সিভি বানানোর ৩ টি খুব সহজ এবং চমৎকার আইডিয়া দিচ্ছি।
আরো জানুন:
১. Microsoft word এ সিভি বানানোর নিয়ম:
আপনার বা আপনার কোনো বন্ধুর কাছে যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে, তাহলে তা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই একটি resume বা cv বানিয়ে নিতে পারবেন।
Computer বা ল্যাপটপ এ microsoft word বা অন্য কোনো text editor software যদি থাকে তাহলে সেটা ব্যবহার করেই resume বানিয়ে নিতে পারবেন।
সিভি লেখার সময় আপনি সাধারণত খুব সহজভাবে সেই বানাবেন। আমি উপরে যে নিয়মগুলি আলোচনা করেছি সে বিষয় গুলোর উপরে আপনি লিখবেন তাহলে আপনার একটি সহজ সিভি তৈরি হয়ে যাবে।
বন্ধুরা দেখলেনতো, নিজের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকলে খুব সহজেই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, অথবা কোন টেস্ট এডিটর ব্যবহার করেই খুব সহজেই সিভি বানানো খুবই সহজ।
এখন আমি আপনাকে microsoft word বা যেকোনো টেক্সট এডিটরে সিভি কিভাবে লিখে তৈরি করবেন তার নমুনা দিছ্ছি। আপনি এটা দেখে সহজেই সিভি বানানোর ধারনা নিতে পারেন।
Cv লেখার নমুনা:
(নিজের ছবি বসান)
Name – নিজের নাম লিখুন
Address – নিজের এড্রেস লিখুন
Contact No.- 01******
Email ID – নিজের ইমেইল id দেন।
(এবার নিচের অংশগুলিতে, ওপরে বর্ণিত পার্ট গুলি যেগুলো আমি আলোচনা করেছি সেগুলির সম্পর্কে লিখুন।)
objectijective:
আপনাকে জবটি দেওয়া হলে আপনি কোম্পানির জন্য কিভাবে কাজ করবেন তা লিখুন।
Personal Strength:
আপনি আপনার নিজের প্রতি কতটা সক্রিয় এবং কাজে কতোটা পারদর্শী এবং আপনার কি কি গুণ রয়েছে এসব বিষয় লিখুন।
Work experience:
আপনার যদি কাজের অভিজ্ঞতা থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি এটা লেখুন। পূর্বের অভিজ্ঞতা।
Educational Qualification:
আপনি কতটুকু লেখাপড়া করেছেন, এবং কি কি ডিগ্রি অর্জন করেছেন বিস্তারিত লিখুন ।
Personal information:
ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য দিন, এবং আপনার ইন্টারেস্টেড বিষয়গুলি এখানে লিখতে পারেন।
Final declaration:
final declaration অংশে আমি উপরে যেভাবে বলে দিয়েছি সেভাবে লিখুন।
Date: এখানে যেদিন আবেদন করবেন সেই date টি লিখুন।
এখানে স্বাক্ষর করুন
(আপনার সমপূর্ণ নাম লিখুন)
এখন আপনার সিভি তৈরি করার কাজ শেষ। এখন আপনি এটা প্রিন্ট করে মূল কপি জমা দিতে পারেন। অথবা সিভি ইমেইল এর মাধ্যমেও পাঠাতে পারেন কোন কোম্পানিতে।
আপনার যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকে তাহলে সমস্যা নেই আপনি যেকোন একটি কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে আপনার জীবনের প্রথম সিভি টি আপনি তৈরি করে নিতে পারবেন।
২. Online ওয়েবসাইটে সিভি তৈরি করা :
আপনি যদি নিজেই সিভি তৈরি করা ঝামেলা মনে করেন, তাহলে আপনি নিজের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার দিয়ে মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড ব্যবহার করতে না চান, তা হলে অন্য উপায়ে অনলাইন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সিভি তৈরি করে নিতে পারেন।
তা হলো “Online cv maker website” হ্যাঁ এটাই সত্যি। বর্তমান যুগে অনলাইনে এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি simple (সোজা) এবং stylish (আকর্ষণীয়) সিভি তৈরি করে নিতে পারবেন ।
এজন্য সিপি পীরজাদা লিখতে হবে আমি উপরে যেসব অংশগুলি বর্ণনা করেছি তার সবই এখানে পাবেন।
আপনাকে শুধু cv maker website এ গিয়ে আপনার সঠিক তথ্য গুলি দিতে হবে।
আর এখানে আপনি আপনার ছবি নিজেই আপলোড করে দিতে পারবেন।
তারপর আপনার তৈরি হওয়া সিভি আপনি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দাঁড়া ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
এরপর, সিভি টিকে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন অথবা কোথাও সরাসরি মেইলও করতে পারবেন।
*কয়েকটি online cv maker website নাম নিচে দেয়া হলো –
- Shreresume.com– এখানে আপনি বিভিন্ন রকমের style এবং format (বিন্যাস) এর resume বা cv তৈরি করে নিতে পারেন সম্পূর্ণ ফ্রি তে ।
- Resume.com– এটি হলো অনলাইন এমন একটি সিভি মেকার ওয়েবসাইট যেটা, আপনাকে advanced (অগ্রসর) লেবেলের সিভি/ বায়োডাটা বানাতে সাহায্য করে ফ্রিতে ।
- Canva cv maker– এই সাইটটিতেও আপনি চাইলে সম্পূর্ণ ফ্রি advanced রকমের সিভি বানাতে পারবেন। canva cv maker ওয়েবসাইট আপনাকে বিভিন্ন ডিজাইনের সিভিন (format) দেখাবে। আপনার যেমন style পছন্দ হয় আপনি সেটি select করে নিজের মতো করে সিভি তৈরি করে নিতে পারবেন।
- Cvmaker– এই সাইট টিতেও অনেক রকমের stylish নমুনা সহ আপনার সিভি/ বায়োডাটা তৈরি করে নিতে পারবেন।
বন্ধুরা এখনো যদি আপনি এটা ভাবেন যে সিভি/ বায়ো ডাটা কিভাবে বানাবো। তাহলে আপনি উপরের দেওয়া পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে আপনার একটি সহজ, চমৎকার আকর্ষণীয় সিভি তৈরি করে নিন।
৩. RESUME/ সিভি বানানোর apps
আপনার যদি কোন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকার জন্য সিভি বানানো জন্য চিন্তায় পড়েন, তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। কেননা Google playstore আপনার সমস্যার সমাধান রয়েছে। অর্থাৎ গুগল প্লে স্টোরে সিভি বানানোর apps রয়েছে ।
সোজা কথায় বলতে গেলে আপনি আপনার Android মোবাইল দিয়ে Google playstore এর গিয়ে সিভি বানানোর apps ব্যবহার করে আপনি একটি সহজ, আকর্ষণীয় RESUME/ সিভি বানাতে পারবেন ।
আর, Google playstore এর এমন অনেক apps রয়েছে যারা আপনাকে যেভাবে ভাবে বানিয়ে দিবে তা অন্য কোন এক্সপার্ট কম্পিউটার ক্যাফে সেভাবে বানিয়ে দিতে পারল না।
আপনাকে শুধু এতটুকুই কাজ করতে হবে Google play store এ গিয়ে apps ডাউনলোড করে মোবাইলে ইন্সটল করতে হয়।
তারপর, cv maker app আপনি বিভিন্ন রকমের সিভির ডিজাইন দেখতে পাবেন। সেখান থেকেআপনার পছন্দমত ডিজাইন টি সিলেক্ট করে আপনার সিভি বানিয়ে নিন।
আমি আজকে ৩ টি best সিভি বানানোর apps নাম এবং লিংক নিচে আপনাদের সুবিধার জন্য দিয়ে দিচ্ছি।
এগুলি আপনি চাইলে মোবাইলে ইনস্টল করে RESUME/ সিভি বানিয়ে নিতে পারবেন।
মোবাইলে দিয়ে সিভি বানানোর Apps :
- Resume maker app
- My resume app
- Resume pro
এই apps গুলি আপনি খুব সহজেই ডাউনলোড করতে পারবেন ফ্রিতে। তারপর মোবাইল ইনস্টল করে আপনার সিভি বানিয়ে নিতে পারবেন।
শেষ কথা,
বন্ধুরা, আমি আশাকরি আপনাদের “সিভি লেখার নিয়ম, সিভি কিভাবে লিখতে হয় তার নিয়ম ও নমুনা” এবং “ফ্রি সিভি কীভাবে বানাবেন” তা ভালোভাবে বুঝাতে পেরেছি । যদি আপনার আমার আজকের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যেই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন । ধন্যবাদ