ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায় : ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকামের পদ্ধতি

ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায়: অর্থাৎ কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়? সেটা জানবো। ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায় জানার পর আমরা  ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম 2023 সালেই করার চেষ্টা করবো।

আমরা আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানবো ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করার উপায় (How to earn money from YouTube ? )

ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায়
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায়

 

আপনি যদি সহজভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি খুঁজে থাকেন। তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে সহজ ভাবে ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করে সেখান থেকে আয় করা। এটাই হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে লাভজনক।

আরো জানুন : 

 

আজকে আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে আমাদের দেশে এবং বিদেশে হাজার হাজার লাখ লাখ ইউটিউবার ( YouTuber) রয়েছেন। যারা শুধু নিজের YouTube চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করছেন যা দিয়ে তাদের আর চাকরি বা অন্য কোন কাজ করার প্রয়োজন পরছে না।

আর তাছাড়া এসকল YouTube গুলি তাদের ইউটিউব চ্যানেল কে বিজনেস নিয়ে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতেছেন। 

এমন ইউটিউবাররা রয়েছেন যারা মাসে এখনো পরীক্ষা ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করতেছেন।

তবে , এ পর্যন্ত আসতে তাদেরকে অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে।

আপনি যদি ভাবেন যে, কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা যায়? তবে আপনার ভাবনার সমাধান আমার কাছে রয়েছে।

আজ আমি আপনাদেরকে ইউটিউব চ্যানেল থেকে কিভাবে আয় করা যায় তার কিছু সহজ পদ্ধতি আপনাদেরকে শিখিয়ে দেবো।

YouTube চ্যানেল থেকে আয় করার পদ্ধতি সচরাচর অনেক সহজ।

তবে, আপনি যদি ইউটিউব সম্পর্কে একবারেই নতুন হন, তাহলে আপনার জন্য কিছুটা কঠিন হতে পারে শুরুর প্রথম প্রথম।

আমি আপনাকে ইউটিউবে থেকে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি:  কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা ইনকাম করতে হয়। ইনকাম করার জন্য প্রথমে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়, ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য কি কি প্রয়োজন। YouTube চ্যানেল business কিভাবে শুরু করবেন বিস্তারিত জানিয়ে দিবো। 

 

আমরা আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কি কি শিখবো তা জেনে নেয়া যাক :  

  • কিভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করবেন ? 
  • ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় ?
  • ইউটিউব কিভাবে টাকা দেয় বা ইউটিউব থেকে ইনকামের টাকা কিভাবে তুলবেন ?

আর আমি আপনাকে এটাও পরামর্শ দিচ্ছি যে, আজকে আমি যে বিষয়গুলি নিয়ে নিচে আলোচনা করতেছি, আপনি খুব মনোযোগ সহকারে সেগুলি পর্বেন।

আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনি ইউটিউব চ্যানেল থেকে কিভাবে ইনকাম করতে হয় সে বিষয়টি পুরোপুরি বুঝতে পারবেন।

অল্প কিছু সময় নষ্ট হলেও, বিষয়টি বুঝেন। তাহলে অবশ্যই একদিন আপনিও successful youtuber হতে পারবেন এবং ইউটিউব চ্যানেল থাকে মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

 

ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায় :  ( Youtube theke taka income )

 

Youtube থেকে টাকা আয় করার একটিমাত্র উপায় হচ্ছে-  “নিজের Youtube চ্যানেলে video upload করে“ টাকা ইনকাম করা ।

হুমে এটাই সত্য ।

নিজে ইউটিউব চ্যানেল খুলে তাতে ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।

আরে ইনকামটা এক বা দুই টাকার নয়, ইউটিউব এর না প্রতি মাসে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।

আপনিও চাইলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে মাসে ইউটিউব চ্যানেল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউবার হয়েছেন ছাড়া একদিন লাখ টাকা ইনকাম করে।

Youtube হলো, এমন ওয়েবসাইট যেখানে বিভিন্ন ধরনের Videos পেয়ে যাবেন ।

আপনি যদি ইউটিউব থেকে কোন কিছু শিখতে চান তাহলে সেখানে আপনি “টিউটোরিয়াল ভিডিওস”, দেখতে পাবেন । এই টিউটোরিয়াল ভিডিও এর মাধ্যমে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী শিখতে পারবেন ।  

আর যদি আপনি অবসর সময় চান তাহলে এখানে বিভিন্ন রকমের “funny videos” দেখতে পাবেন । এসব ফানি ভিডিও দেখে আপনি অবসর সময় কাটাতে পারবেন এবং অনেক কৌতুহলী বিষয় জানতে পারি। 

এখানে একটি প্রশ্ন হলো যে, YouTube ওয়েবসাইটে এই video গুলো কোথা থেকে আসে? বা কারা এই ভিডিওগুলো দিয়ে থাকে। 

এই প্রশ্নটির উত্তর হল, আপনার আমার মত কিছু ইউটিউবার রয়েছে যারা এরপর লক্ষ লক্ষ ভিডিও ইউটিউব সাইটের মাধ্যমে আপলোড করে থাকে। যাদের জন্য আমরা এসব ভিডিও পেয়ে থাকি ।

এখানে আরেকটি কথা হল, যারা এই ভিডিওগুলো সময় নষ্ট করে দেন, তারা কেন এই ভিডিওগুলো বানিয়ে ইউটিউবে দেন অথবা এতে তাদের লাভ কি? এখন আপনিও হয়তো এটাই ভাবছেন?

মূলত যারা, YouTube channel বানিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কঠোর পরিশ্রম করে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করছেন তারা এমনিতেই শুধু শুধু সময় নষ্ট, আর পরিশ্রম করছেন না । 

তারা তাদের এই ভিডিও গুলোর মাধ্যমে তাদের পরিশ্রমের বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণের টাকা ইনকাম অবশ্যই করতেছেন।

আর YouTube এর একটি income পদ্ধতি রয়েছে, যাকে বলা হয় “Monetization” অর্থাৎ ইউটিউব মনিটাইজেশন । 

আর এই ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন চালু করার পর থেকে যে কেউ ইচ্ছা করলে তার বানানো ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আসলে, ইউটিউব চ্যানেলের  Monetization প্রক্রিয়া চালুর পর থেকে, আপনার আপলোড করা video তে Google Adsense থেকে কিছু বিজ্ঞাপন (advertisement) দেখানো হয়।

এই বিজ্ঞাপন কখনো ভিডিওর শুরুতে, আবার কখনও মাঝখানে, আবার অনেক সময় ভিডিও শেষের দিকে দেখা যায়।

মূল কথা বলতে, আপনার video যত মানুষ দেখবে, ততোই ততই গুগলের বিজ্ঞাপন গুলি মানুষের সামনে ভিউ হতে থাকবে। এই বিজ্ঞাপন গুলো যে মানুষ যত বার দেখল এর প্রফিট হিসেবে গুগল আপনাকে টাকা দিবে।

এটাই হলো মূলত ইউটিউব চ্যানেলে ইনকাম। আর এই টাকা আপনার Google adsense account-এ জমা হতে থাকবে।

পরবর্তীতে আপনি চাইলে, আপনার ইউটিউব ভিডিও থেকে ইনকামের Google adsense account-এ জমা হওয়া টাকা আপনি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে তুলে নিতে পারবেন। 

 

Note: গুগল এবং YouTube এর একটি অংশ হলো- Google adsense । ব্লগার এবং ইউটিউবারদের ব্লগ সাইট অথবা ভিডিওর মধ্যে গুগল এডসেন্স বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদেরকে টাকা ইনকাম করার সুযোগ দিয়ে থাকে। গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আদি থেকেই পর্যন্ত কি পরিমান টাকা মানুষের ইনকাম করেছে তা আপনি কল্পনা করতে পারবেন না।

ইউটিউবে monetization অন করে আপনি আপনার সেখানে এডসেন্স একাউন্ট বানিয়ে নিতে পারবেন।

তো বন্ধুরা চলুন, আর দেরি না করে ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে আমরা কিভাবে টাকা ইনকাম করতে পারি তাই step-by-step জেনে নেই।

আরো পড়ুন: 

YouTube থেকে টাকা আয় করার উপায়/ পদ্ধতি :

 

এটা একদমই সত্য যে YouTube চ্যানেলে  video আপলোড করে আপনি টাকা ইনকাম করতে অবশ্যই পারবেন। তবে, টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ কাজ করতে হবে এবং অনেক বেশি ধৈর্যশীল হতে হবে। প্রথমে আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল বানাতে হবে এবং সেখানে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে। 

তারপর আপনি আপনার বানানো ইউটিউব চ্যানেল গুগোল অ্যাডসেন্সে মনিটাইজেশন পাওয়ার আগ পর্যন্ত কঠোরভাবে পরিশ্রম করতে হবে।

আর যখন গুগোল এর মনিটাইজেশন যখন পেয়ে যাবেন তখন থেকে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।

এরপর থেকে আপনার ইনকাম বাড়তেই থাকবে একসময় আপনি আপনার YouTube চ্যানেলকে business হিসেবে নিতে পারবেন। এবং এখান থেকে আপনার লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম হবে তার প্রতি মাসে। 

ইউটিউব চ্যানেল বানানোর জন্য আমাদের কি কি লাগতে পারে step-by-step জেনে নেই।

 

১. YouTube এ নিজের একটি চ্যানেল খুলুন :

 

ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করার জন্য সর্ব প্রথমে আপনার যে কাজটি করতে হবে তা হল আপনার নিজের নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল বানাবো। আপনার যদি আঠারো বছর বয়স না হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার বাবা বা মায়ের নামে অথবা আপনার নিজস্ব লোকের নামে ইউটিউব অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেল বানানোর পর আপনি আপনার চ্যানেলে নিয়মিত নিজের মনের মত ভিডিও তৈরি করে তা আপলোড করুন।

এখন প্রশ্ন হলো- কিভাবে আপনি “YouTube চ্যানেল বানাবেন?  

আমি বলে দিচ্ছি, আপনি আপনার নিজের নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানোর জন্য প্রথমেই আপনাকে যেতে হবে “ইউটিউব ওয়েবসাইটে” । 

এরপর সেখানে আপনি প্রথমেই আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট- (জি-মেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড ) দিয়ে YouTube-এ লগ ইন করবেন। 

আপনার জানা দরকার YouTube হচে্ছ Google এরই একটি service তাই ইউটিউবে লগইন করতে হলে আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট লাগবে। 

বর্তমানে সবারই জিমেইল অ্যাকাউন্ট আছে। আর আপনার থাকা জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়েই অথবা চাইলে নতুন জিমেইল একাউন্ট খুলে তা দিয়ে YouTube এ লগইন করতে পারেন। 

আপনি চাইলে নতুন জিমেইল একাউন্ট খোলার জন্য  জিমেইল এর ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি জিমেইল একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারেন সহজেই।  

এরপর আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে লগইন করার মাধ্যমে সরাসরি ভিডিও আপলোড করতে পারেন।

ইউটিউব ভিডিও পাবলিশ করার জন্য আপনার আলাদা আলাদা কোন চ্যানেলে প্রয়োজনেই একটি চ্যানেলে আপনি চাইলে যত ইচ্ছা তত ভিডিও বানিয়ে পাবলিশ করতে পারবেন।

আর যদি আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানোর পর অন্য অন্য বিষয় নিয়ে আলাদা আরো চ্যানেল বানাতে চান তাহলে আপনি নিজেই নিজের ইউটিউব চ্যানেল বানাতে পারবেন ।

 

Youtube-চ্যানেল কিভাবে বানাবেন নিজের নামে ?

 

YouTube চ্যানেল বানানোর জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম ইউটিউবে গিয়ে আপনার জিমেইল আইডি দিয়ে লগ ইনকরে নিতে হবে।  

  • YouTube এ লগইন করার পর, ঠিক উপরের ডান দিকের একটি “icon এর লোগো” দেখতে পাবেন। আপনাকে সেই আইকন এ ক্লিক করতে হবে।
  • Icon এ ক্লিক করার পর আপনি একটি মেনু দেখতে পাবেন।
  • এই মেনুতেই আপনার নাম ও “creator studio”  লেখা অপশন দেখতে পাবেন।
  • এখন আপনি Creator studio এ ক্লিক করুন।
  • এরপর Creator studio তে আপনার YouTube channel dashboard দেখতে পাবেন।
  • এখানেই আপনার নিজের চ্যানেলের নাম এবং বিস্তারিত তথ্য পুরণ করার অপশন পাবেন। সেগুলি পুরণ করতে হবে।

এরপর আপনার চ্যানেল চালু করার জন্য প্রথমেই  Verify YouTube channe” কাজটি  আপনাকে করতে হবে। 

আর YouTube চ্যানেলটি ভেরিফাই করতে কম্পিলিট হবার পর আপনি আপনার চ্যানেলে ভিডিও আপলুড করে টাকা ইনকামের কার্যক্রমটি শুরু করতে পারবেন।  

  • ভেরিফাই করার জন্য আপনি, Channel dashboard এ বামপাশে “Channel” অপশনটি ক্লিক করুন।
  • Channel অপশনটি ক্লিক করার পর উপরে “Verify” লিংক দেখতে পাবেন।
  • এখন verify লিংকটি ক্লিক করে মোবাইল নম্বর দিয়ে আপনি ভেরিফাই করেনিন।
  • ভেরিফাই কম্পিলিট হলে আপনি এখন  চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।

আর আপনি যদি অন্য নামে নতুন কোনো চ্যানেল বানাতে চান :

তাহলে ইউটিউব-এ লগইন করে, উপরের ডানপাশে প্রোফাইল আইকন অপশন ক্লিক করুন।

এরপর creator studio অপশনের শেষে “Gear icon” টিতে ক্লিক করোন।

এখন ইউটিউবের  Settings page পেয়ে যাবেন যাতে আপনি “Create a new YouTube channel” অপশনটি দেখতে পাবেন।

আপনি “Create a new YouTube channel” লিংক এ ক্লিক করে মনের মতো নাম দিয়ে একটি নতুন  YouTube চ্যানেল বানিয়ে নিতে পারেন।

এতক্ষণ আমি আপনাদেরকে চ্যানেল কিভাবে বানাতে হয় তা শিখিয়ে দিলাম। আপনারা হয়তো ইউটিউব চেনেল কিভাবে বানাতে হয় এবং অন্য নামে কোন চেনেন পেট করতে চাইলে তা কিভাবে করতে হয় সেটাও শিখে ফেলেছেন।

তো বন্ধুরা চলুন এখন ইউটিউব চ্যানেল বানানোর পর কি কি কাজ করতে হবে তা জেনে নেই।

২. নিজের YouTube চ্যানেলে Video আপলোড করন :

 

ইউটিউব চ্যানেল বানানোর পর থেকেই আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন তা কিন্তু নয় ।

আমি আপনাদেরকে আগেই বলেছি যে, ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাদেরকে অনেক কিছুই করতে হবে। যেমন ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করা, ভিডিও বানানো, এবং নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করা।

এখন আপনাকে যে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে হবে তা হল নিজের চ্যানেলে ভালো মানের ভিডিও বানিয়ে আপলোড করা“। 

আমি আগেই বলেছি, ইউটিউবে আপনি যে ভিডিও আপলোড করবেনা সেই ভিডিওতে গুগুলের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে তা থেকে আপনি গুগল এডসেন্সর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আর সেজন্যই আপনি কি ধরনের ভিডিও বানিয়েআপলোড করতে চান সেটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আপনি যদি সত্যি সত্যি ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে একটা বিষয়ে সব সময় মাথায় রাখতে হবে আপনি কখনোই অন্য কোন চ্যানেলের বা কারণ আপলোড করা ভিডিও কপি করে কখনো আপনার চ্যানেলে আপলোড করবেন না।

শুধুমাত্র নিজের পছন্দ মত বানানো ভিডিও যেগুলো মানুষ দেখতে পারবে বেশি বেশি সেরকম ইন্টারেস্টিং ভিডিও আপনি বানিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করবেন।

এতে করে লোকজন আপনার ভিডিও বেশি বেশি দেখবে এবং সেইসাথে আপনার চ্যানেলে বিজ্ঞাপন ও বেশি বেশি ভিউ হবে। তাতে করে আপনার ইনকাম বেশি হবে ।

একটা মাথায় রাখবেন, এমন ভিডিও বানাবেন যেগুলো মানুষ চাই যে ভিডিওর মাধ্যমে মানুষ কিছু শিখতে পারবে, যে ভিডিও মানুষকে আনন্দ দিবে, যে ভিডিও মানুষ সবসময় দেখতে পছন্দ করবে। তাহলেই আস্তে আস্তে একসময় আপনার YouTube চ্যানেলে ভিসিটর, ভিউ এবং subscribers  বাড়বে। যার ফলে আপনি একসময় একজন সফল ইউটিউবার হয়ে যাবেন। এবং কি আপনি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

 

ইউটিউবে চ্যানেলে কেমন ভিডিও আপলোড করবো ? topic কি হবে ?

আমি আপনাদেরকে আগেই বলেছি, আপনার ইউটিউব চ্যানেল টিকে এমন একটি টপিক নিয়ে বানাতে হবে যেটা  বর্তমানে লোকজন ইন্টারনেটে সচরাচর সার্চ করে থাকে। যে টপিক্স এর চাহিদা অনেক বেশি। এতে করে অনেক ভিজিটর পাওয়া যায় এবং তাড়াতাড়ি সাফল্য পাওয়া যায়।

তাই YouTube channel এমন বিষয়ে নিয়ে বানাবেন যেটা অধিকাংশ মানুষের রুচীর মধ্যে পড়ে।

 

আরেকটি কথা আপনার মাথায় রাখতে হবে, শুধুমাত্র রুচিশীল টপিক নিয়ে চ্যানেল বানিয়ে ভিডিও আপলোড করলে হবে না। আপনাকে সেই টপিক্স সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে, আপনার বানানো ভিডিওর টপিক্স সম্পর্কে।

আমি আজ আপনাকে এমন কয়েকটি টপিকস বা বিষয় এর নাম বলে দিচ্ছি যেগুলি ইউটিউবে সচরাচর সার্চ হয় এবং আপনি সহজেই এগুলো থেকে ভিডিও বানিয়ে নিতে পারবেন।

 

YouTube চ্যানেল বানানোর আটটি আইডিয়া (কোন বিষয়ে চ্যানেল বানাবেন ? )

এখন আমি আপনাদেরকে ইউটিউব চ্যানেল বানানো আটটি আইডিয়া সম্পর্কে ধারণা দিব যে বিষয় নিয়ে আপনি ইউটিউব চ্যানেল বানালে আপনি সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।

আর বর্তমানে এই টপিক গুলি নিয়েইউটিউব চ্যানেল খুলে ইউটিউবাররা অনেক টাকা ইনকাম করতেছেন।

  1. Technology ( টেকনোলজি ) – বর্তমান ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেটের ব্যবহার যত দিন যাচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানুষও ইন্টারনেটের প্রতি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই কারণেই ব্লগ সাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল বলুন সব জায়গাতেই টেকনোলজি বিষয় নিয়ে বেশিরভাগ আলোচনা হয়ে থাকে । তাই অনেক ব্লগার আছেন তারা তাদের ব্লকবুষ্টের টেকনোলজি সম্পর্কে আলোচনা করতেছেন। এবং অনেক ইউটিউবার রয়েছেন যারা তাদের ইউটিউব চ্যানেলে টেকনোলজির বিষয়ে আলোচনা করছেন। এবং মানুষও বর্তমানে টেকনোলজি কি সে সম্পর্কে অনেকটাই জানে এবং প্রতিনিয়ত জানার আগ্রহ বাড়ছে। তাই এই বিষয়ে আপনি ভিডিও বানালে তাহা মানুষের রুচি সম্মত হবে এবং আপনার ভিডিও অনেক ভিউ হবে । আপনি অতি তারাতারি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
  2. App review চ্যানেল- বর্তমানে android apps ব্যবহার কার না আছে। আমরা সবাই নতুন নতুন apps মোবাইলে ইনস্টল করে ব্যাবহার করে থাকি। নতুন apps সম্পর্কে আমরা ভালো-মন্দ কিছুই জানিনা। যখন কোন নতুন অ্যাপস বের হয় তখন আমরা তা জানার জন্য ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকে। আর এই সুযোগটি আপনাকে কাজে লাগাতে পারেন। নিত্য নতুন অ্যাপস সম্পর্কে আপনি জেনে বুঝে তারপর সেই বিষয়ে আপনি ভিডিও করে তা আপলোড করতে পারেন আপনার চ্যানেলে ।
  3. মোবাইল ফোন রিভিউ- বর্তমানে অনেকেই YouTube থেকে টাকা ইনকাম করতে চান মোবাইল ফোন রিভিউ করে । আপনি চাইলে মোবাইল ফোন রিভিউ এর ভিডিও করেও আপনার চ্যানেলে আপনি আপলোড করতে পারেন ।  আপনার বানানো ভিডিও যত ভালো হবে তত আপনি বেশি পাবেন এবং লোকজনের সাবস্ক্রাইব পাবেন আপনার ইনকাম অনেকটাই বেড়ে যাবে ।
  4. Tutorial video বানিয়ে- আজকাল অনেকেই তাদের ইউটিউব চ্যানেলে টিউটরিয়াল ভিডিও আপলোড করে তাদের চ্যানেলকে successful করে তোলেছেন । কেননা এই টিউটোরিয়াল ভিডিও ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ।  কেননা এর মাধ্যমে মানুষ অনেক কিছু শিখতে পারে । টিউটোরিয়াল ভিডিও বলতে এমন কিছু ভিডিও কি বুঝায় যে ভিডিওতে আপনি মানুষকে বুঝিয়ে বলছেন যে, কোন জিনিস কিভাবে করবেন, কিভাবে বানাবেন, কোন বিষয়টা কি ইত্যাদি শিক্ষনীয় ভিডিও ।
  5. Food-খাবার বানানোর video- আপনি যদি ভালো ফুড বা খাদ্য তৈরি করতে পারেন। যেমন কোন কিছু রান্না করা বা কোন food recepie র ভিডিও বানিয়ে আপনি আপনার চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। নতুন নতুন রান্না ফুড রেসিপি ভিডিও বানিয়ে আপনি আপনার চ্যানেলে আপলোড করে ইমরানের ভিডিও সরাসরি আপনি দর্শকদের দেখিয়েও আপনার চ্যানেলটিকে এগিয়ে নিতে পারেন ।
  6. Blogging tips- বর্তমানে অনেক তরুণ-তরুণী ব্লগিং শেখার জন্য ইন্টারনেটে বিভিন্ন ভাবে সার্চ করে থাকে । এই সুযোগটি আপনি কাজে লাগাতে পারেন । blogging এবং WordPress এর সাথে জড়িত tutorial video বানিয়ে আপনি বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে অনেক জনপ্রিয় হতে পারেন । এরকম ভিডিও বানিয়ে আপনি তরুণদের রূচি সম্পন্ন ইউটিউবার হতে পারেন ।
  7. Online earning tips- আজকাল ছেলে- মেয়ে, যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরী, বয়স্ক, অপ্রাপ্ত প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজে থাকে । তাই আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অনলাইন থেকে আয় বিষয়কearning tips এবং tutorial এর ভিডিও বানিয়ে তা আপনার চ্যানেলে আপলোড করে দিতে পারেন । বর্তমান ঘরে বসে ইনকাম করা এই ধরনের ভিডিও বা টিপস সকলেই পছন্দ করে ।
  8. Gaming channel- বর্তমান ইয়ং জেনারেশনের কাছে YouTube gaming channel এর চাহিদা বেড়েই চলেছে । আপনি চাইলে আপনার মোবাইল দিয়ে বা কম্পিউটার দিয়ে গেম খেলে স্কিন রেকর্ড এর মাধ্যমে ভিডিও করে আপনি আপনার চ্যানেলে আপলোডকরতে পারেন । বর্তমানে,  gaming চ্যানেল গুলো সহজেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ।

বন্ধুরা, আমি আপনাদের উপরে কয়েকটি YouTube বানানোর আইডিয়া দিলাম যেগুলো বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়। আর এই বিষয়গুলির উপরই YouTube চ্যানেল বানিয়ে অনেকেই লক্ষ লক্ষ্ টাকা ইনকাম করে নিয়েছেন। 

তো, আপনিও এসব বিষয় নিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি বানিয়ে নিতে পারেন।

আজ আমরা, ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার জন্য ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে বানাতে হয় কিরকম ভিডিও আপলোড করতে হয় তা শিখলাম ।

এখন আমরা সবচেয়ে জরুরি এবং YouTube theke taka প্রয়োজনীয় স্টেপ সম্পর্কে জানব। আর যার নাম  “Monetization” (মনিটাইজেশন ) । 

৩. ইউটিউবে monetization চালু করবেন কিভাবে ?

 

আপনার বানানো ইউটিউব চ্যানেল বানানোর পর তাতে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে আপনার সাবস্ক্রাইব এবং ভিউ বাড়তে থাকবে ।

এরপর যখন আপনি আপনার চ্যানেলে  ১০০০ subscribers বা তার চেয়ে বেশি হয়ে যাবে YouTube monetization এর জন্য তখন আপনি apply করবেন।

আপনার চ্যানেলটি Monetization এর জন্য  apply করে active করার পর আপনার YouTube video তে বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন Google adsense থেকে মূলত এই বিজ্ঞাপনগুলি দেওয়া হয় ।

আপনার চ্যানেলে monetization চালু করার জন্য আপনাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

আর সেগুলি হলো:

  • আপনার YouTube চ্যানেলে সর্ব মোট ১০০০ subscriber বা তার বেশি হতে হবে।
  • সর্বমোট ৪০০০ ঘন্টা ভিডিও ভিউ সময় থাকতে হবে। মানে, আপনার সকল ভিডিও মিলে সর্ব মোট ৪০০০ ঘন্টা ভিউ থাকতেই হবে।

এই শর্ত গুলি পূরণ করে monetization এর জন্য YouTube এ apply করতে পারবেন আপনি। এবং YouTube team আপনার চ্যানেলটি যদি approve করে তাহলেই আপনি নিজের video আপলুড করে সেখানে এড দিয়ে অনলাইনে টাকা আয় শুরু করতে পারবেন । 

 

YouTube এ monetization চালু করবো কিভাবে ?

 

  • YouTube এ monetization চালু করার জন্য আপনাকে প্রথমেই YouTube account এর “channel icon > creator studio > channel > monetization” যেতে হবে।
  • এখন monetization পেজে এ আপনি monetization চালু করার জন্য ৪ টি অপশন দেখতে পাবেন।
  • এখন আপনি এই চারটি অপশন ভালোভাবে বুঝে পুরণ করুন।
  • এখানে 2য় নম্বর অপশনে গুগল এডসেন্সের জন্য আপনাকে একটি একাউন্ট বানাতে হবে।

কম ভালোভাবে বুঝে একটি এডসেন্স একাউন্ট ক্রিকেট করে আপনার YouTube টি এডসেন্স একাউন্টের যুক্ত করুন । 

মনে রাখবেন, এডসেন্স একাউন্ট আপনার ইউটিউব চ্যানেল যুক্ত করার পর এখান থেকে আপনার ভিডিও আপলোডের পর। যে বিজ্ঞাপনগুলো গুগল এডসেন্স দেখাবে সেগুলোর উপর আপনার ইনকাম হবে। আর যখনই আপনার একাউন্টে 100 ডলার কোন হবে তখন আপনি একটি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে তুলে নিতে পারবেন।

Monetization চালু করার সকল ধাপ পুরণ করার পরে আপনাকে মনিটাইজেশনের জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। 

অপেক্ষার কারণ হলো, ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন এর জন্য apply করার পর YouTube official team আপনার চ্যানেলকে review  বা পর্যালোচনা করবে। 

Review তে তারা দেখবে যে আপনার সব ভিডিও ঠিক আছে কিনা? এবং আপনার চ্যানেলটি মনিটাজেশন এর জন্য যোগ্য কি না? 

সব কিছু ঠিক থাকলে YouTube team আপনার চ্যানেলটিকে  monetization এর জন্য approve করে দিবে । 

আপনার চ্যানেলটিকে  monetization হয়েগেলে আপনি এখন শুধু ভালো ভালো মানসম্মত ভিডিও বানিয়ে আপনার চ্যানেলে আপলোড করতে থাকুন। আর গুগলের বিজ্ঞাপন দেখে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন ।   

৪. YouTube থেকে আয় করা টাকা কিভাবে হাতে পাবেন ?  

আমি এর আগেও বলেছি যে, YouTube monetization চালু হওয়ার পর থেকে Google adsense থেকে আপনার আপলোড করা ভিডিও তে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে । মূলত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন । 

এখন কথা হল আপনি যে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করলেন। এই একাউন্টে টাকা তো আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে জমা হতে থাকবে । এটা আপনি কিভাবে হাতে পাবেন ইউটিউব থেকে আয় করা টাকা কিভাবে তুলবেন ?

আপনার এডসেন্স একাউন্টে যখন আপনার ইউটিউব একাউন্ট এর দাঁড়া ইনকাম করা টাকা 100 ডলার জমা হয়ে যাবে তখন আপনার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা করে তুলতে পারেন । আপনি যে ব্যাংক একাউন্টে যোগ করে দিবেন সেখানে গুলিস্তান থেকে অটোমেটিক আপনার একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দিবে ।

আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্ট থেকে টান্সফার হ টাকার ব্যাংক একাউন্টে যোগ হতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে।

তবে ব্যাংক একাউন্টে টাকা আনার জন্য আপনাকে প্রথমেই Google adsense এর payment অপশন এ 

ব্যাঙ্ক একাউন্ট তথ্য details  খুব সতর্ত তার সাথে দিতে হবে । যেন কোন ধরনের  ভুল না হয়। 

কেননা কোন ভুল অ্যাকাউন্ট যদি আপনি চান তাহলে আপনার ব্যাংক একাউন্টে কোনোভাবেই টাকা আসবেনা। এতে করে আপনি অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন ।

তাই ভালোভাবে জেনে বুঝেই আপনি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যোগ করবেন।

আজ আমি আপনাদেরকে YouTube ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে বানাতে হয়। ইউটিউব চ্যানেল থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এসব বিষয় বুঝিয়ে বলেছি।

আমি আপনাদেরকে কোন কোন বিষয় নিয়ে ইউটিউব চ্যানেল মানলে আপনি একজন সফল ইউটিউবার হয়ে যাবেন এবং কি ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকামের টাকা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা কিভাবে তুলতে পারবেন সবকিছুই বিস্তারিত বলে দিয়েছি।

তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় কি সেটা আমি আপনাদেরকে এখনো বলিনি। যে আকর্ষণীয় বিষয়টির জানার পর আপনার ইউটিউব থেকে ইনকাম করার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে যাবে ।

সেই কথাটি হলো- “ইউটিউবে চ্যানেল থেকে কত টাকা আয় করা যায়” আপনারও এমন প্রশ্ন থাকতে পারে ।  

চলুন তাহলে, দেখে নেয়া যাক একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায় ?

৫. YouTube থেকে কত টাকা আয় করা যায় ?

 

আপনি যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে মনিটাইজেশন এর জন্য অন করবেন । কিছুদিন পর আপনি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পেয়ে গেলেন। এখন থেকে আপনার ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে গেল ।

আপনার শুরু হওয়া ইনকাম টি কি পরিমান হতে পারে, আপনি ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারেন ? আপনি কি ইউটিউব থেকে এত টাকা ইনকাম করতে পারবেন যে আপনাকে কোন চাকরি বা আপনার অন্য কোন কিছু করতে হবে না?

সহজ কথায় বলতে গেলে, ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনি কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেটা সঠিক হিসাব কেউ আপনাকে দিতে পারবে না।

তবে আপনাকে আমি একটি ধারণা দিচ্ছি, প্রতি ১০০০ ভিডিও ভিউ তে ১ থেকে ২ ডলার পর্যন্ত দেয়া হয়ে থাকে। 

অর্থাৎ, আপনার বানানো ভিডিও যদি  ১০০০ লোকে দেখে তাহলে সেখান থেকে আপনার বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে এক থেকে দুই ডলার ইনকাম হয়ে যাবে । 

এবার ভাবুন, আপনার যদি ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও 5000 ভিউ হয় তাহলে আপনি সেখান থেকে অনায়াসেই 5 থেকে 10 ডলার ইনকাম করতে পারবেন প্রতিদিন ।

আর যদি আপনি এমনটি অথবা এর চেয়েও বেশি করতে পারেন। তাহলে তো আপনার কোনো চাকরি বা অন্য কোন কাজ করার প্রয়োজন পড়বে না আপনার মাসে কত টাকা আসবে সেটা হিসাব এখন আপনি নিজেই করতে পারবেন।

আজকাল অনেকেই রয়েছেন যারা মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতেছেন।

আপনিও পারবেন, তবে একটু অলসতা ভেঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করে আর নিয়মিত ধৈর্য ধরে আপনাকে কাজ করতে হবে ।

তাহলেই আপনিও প্রথমত  লক্ষ টাকা না কমাতে পারলেও YouTube চ্যানেল থেকে ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারবেন।

এর জন্য ভালো ভালো ভিডিও বানানো আর তা আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করার বিকল্প কিছু নেই।

যখন আপনি 60 থেকে 7০ টি মানসম্মত এবং নিজের বানানো ভালো মানের ভিডিও ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করবেন তখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম হতে থাকবে।

 

Google এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দ্বারা টাকা ইনকাম কিছু কিছু বিষয়ের উপর নির্ভরশীল ।

এই বিষয়গুলির মধ্যে, “CPC”, “CTR” অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

তাই আপনার চ্যানেলের আয় আমার বলার চাইতে কম বেশি হতে পারে ।

৬. ইউটিউব থেকে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় :

 

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে । আজ আমি আপনাদেরকে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করার পাঁচটি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো।

আপনি যদি আপনার চ্যানেলে হাজার হাজার subscriber বানিয়ে নিতে পারেন তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্নভাবে ইনকাম করতে পারবেন । 

বর্তমানে ইউটিউব থেকে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় গুলো হল :

  1. Google Adsense- গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন আপনার আপলোড করা নিজের ভিডিওতে দেখানোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ইনকাম করতে পারেন। এটি হলো ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি উপায় ।
  2. Products-services- বর্তমানে ইউটিউব থেকে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় আরেকটি মাধ্যম হলো প্রোডাক্ট ও সার্ভিস এর মাধ্যমে ইনকাম । আপনি চাইলে বিভিন্ন কোম্পানির প্রডাক্ট আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে  paid promotion অপশন চালু করে এখান থেকে ইনকাম করতে পারেন ।
  3. Affiliate marketing- হলো বর্তমানে YouTube থেকে income এর সবচেয়ে লাভজনক উপায় । আপনার চ্যানেলে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট  promote / marketing  করে সেগুলোর প্রচার করতে হবে। আর আপনার দেখানোে এড দেখে যদি কেউ পন্য ক্রয় করে তাহলেই আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন পেয়ে যাবেন। আজকের ডিজিটাল যুগে affiliate marketing হচ্ছে একটি  business model.   
  4. নিজের products বা services এর মাধ্যমে আয়:  বর্তমানে অনেকেই তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে তারা কি করতে পারে সেটা ভিডিও করে আপলোড করার মাধ্যমে মানুষজনকে দেখিয়ে সেখান থেকে আয় করে থাকে। আপনিও চাইলে আপনি কি করতে পারেন বা আপনার কি সার্ভিস রয়েছে এ বিষয়ে ভিডিও করে সেগুলি ইউটিউব এ আপলোড করে সেখান থেকে আপনি হিউজ পরিমাণ ইনকাম করতে পারেন।
  5. YouTube চ্যানেল বিক্রি:  আপনি চাইলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল গুগল এডসেন্সের মনিটাইজেশন পাওয়ার পর বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে সা্ইট বিক্রির বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। বা আপনার কাছেই পরিচিত অনেকে আপনার কাছ থেকে সাবস্ক্রাইবার সহ এবং গুগল এডসেন্স সহ চেনেন কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকবে আপনি চাইলেই তাদের কাছে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি বিক্রি করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।  

বন্ধুরা আমরা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিতে যদি অনেক সাবস্ক্রাইবার হয়ে যায়। তখন আপনি এটাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্নভাবে ইনকাম করতে পারবেন।

 

আজকের শেষ কথা:

 

ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায় : ( Earn money from YouTube ) আমি

আজ আপনাদেরকে খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলাম।

এবং, YouTube থেকে কত টাকা আয় করা যায় সেটাও আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

এখন আমি আপনাদেরকে আরেকটি জরুরী কথা বলবো:

সেটা হচ্ছে:

প্রথম প্রথম আপনাদেরকে খুব ভালো করে, ধ্যৈয্যসহকারে, কঠিন পরিশ্যম করে কাজ করতে হবে ।

আপনি যে বিষয়টি নিয়ে ভিডিও বানাবেন সে বিষয়টি সম্পর্কে আগে থেকে ভালো করে বুঝে নিবেন। তারপর ভিডিওটি বানানো শুরু করবেন। কেননা আপনার একটি ভালো মানসম্মত ভিডিও অন্য দশটি কপিরাইট ভিডিওর চেয়েও অগোছালো ভিডিও চেয়েও বেশি কাজে আসবে ।

আর টাকা ইনকাম করার কথা প্রথমেই মাথায় রাখবেন না। ভালোভাবে মন দিয়ে তিন থেকে ছয় মাস কাজ করুন তারপর দেখবেন অটোমেটিক টাকায় আপনাকে খুঁজছে ।

একসময় আপনি আপনার নিজের ইউটিউব চ্যানেলটিকে  business হিসেবে চালাতে পারবেন ।  আপনাকে অন্য কোন চাকরি বা অন্য কোন কিছু আর করতে হবে না । আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকেই আপনি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে আপনারা নির্দ্বিধায় আমাদের কমেন্ট বক্সে comment  করে জানিয়ে দিতে পারেন। আমরা অবশ্যই আপনার কমেন্টের উত্তর দিতে সচেষ্ট থাকব । 

সকলেই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আবারো আপনাদের সাথে দেখা হবে নতুন কোন বিষয়ের আর্টিকেল নিয়ে। ধন্যবাদ ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *